বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। প্রতি বছরের ন্যায় এই দিনটিকে বরণ করে নিতে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে শুরু হয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা। তবে এবারের আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল বেশ কিছু ভিন্ন ধরনের আয়োজন। ঘোড়ার সওয়ার দিয়ে শুরু হওয়া এই আনন্দযাত্রায় ব্যান্ডের লাইভ গান। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের অংশগ্রহণসহ ভিন্ন মাত্রা এনেছিল এক্রোবেটিক পরিদর্শন।
সোমবার সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড়, টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও দোয়েল চত্বর হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে এসে শেষ হবে। শোভাযাত্রায় রয়েছে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রসহ ৩০ জন শিল্পীর সম্মিলিতভাবে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এদিন সকাল থেকেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জাতি ভেদাভেদ ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রঙিন পোশাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে এসে জড়ো হন সাধারণ মানুষ। পরে তাদের উপস্থিতি ও যোগদানে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রায় রয়েছ ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফ। বড় মোটিফগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঠের বাঘ, ইলিশ মাছ, টাইপোগ্রাফিতে ৩৬ জুলাই, শান্তির পায়রা, পালকি, জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের পানির বোতল ইত্যাদি।
বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু
এছাড়াও ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবারের শোভাযাত্রায় বিশেষভাবে যুক্ত করা হয়েছে তরমুজের মোটিফ, যা সাম্প্রতিক সময়ের এক রাজনৈতিক বার্তাবাহী উপাদান।
এছাড়াও সুলতানি ও মোঘল আমলের মুখোশ, ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, রঙিন চরকি, বাঘের মাথা, তালপাতার সেপাই, মাছ ধরার পলো, মাছ ধরার চাই, পাখা, মাথাল, ঘোড়া, লাঙলসহ রয়েছে নানান আয়োজন। একই সঙ্গে আনন্দ শোভাযাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখে পরার মতন উপস্থিতিও দেখা গেছে।