শরীয়তপুর পৌরসভার ৬০ নং পালং মৌজায় আব্দুর রাজ্জাক খান ও শাহজাহান খানদের পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। সেই সম্পত্তি দখল করে পাঁকা বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছেন নুরুল হক খান, শামসুল হক খান ও রমিজ খান। ভবন নির্মাণে বাঁধা দিলেই দখলকারীদের পক্ষ থেকে আসে হত্যার হুমকি।
এমন অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন আব্দুর রাজ্জাক খান। তিনি বিষয়টি আদালত ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্থায়ী সমাধান কামনা করছেন।
আব্দুর রাজ্জাক খান তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ২৫ কোটি টাকা মূল্যমানের পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখলে নিয়ে বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ শুরু করছেন বিবাদীরা। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় দরখাস্তকারী। পরে তিনি আদালতে দেওয়ানী ১০৭/২৪ নং মামলা করেন।
সেই মামলায় আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন বলেও তিনি দরখাস্তে উল্লেখ করেছেন। আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বিবাদীরা রাজনৈতিক প্রভাব ও টাকার জোরে নালিশী জমিতে বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ কাজ চালু রেখেছেন বলে দাবী করেছেন দরখাস্তকারী আব্দুর রাজ্জাক খান।
অভিযোগকারী আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সামনে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে বিবাদীরা জোর করে বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ করতেছে। বাঁধা দেওয়ায় তাকে ঠেলা ধাক্কা দিয়ে জমি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বিবাদীরা ১৫-১৬ জন সন্ত্রাসী সেখানে সব সময় মজুদ রাখে।
তাদের ভয়ে সেখানে যেতেও পারেনা দরখাস্তকারী পক্ষ। সেখানে গেলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিবাদীরা। এখন দরখাস্তকারী আব্দুর রাজ্জাক খান ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবন ঝুকিতে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিবাদীরা প্রথমে আব্দুর রাজ্জাক খানকে টার্গেট করে। তার সংসার ধ্বংস করে দিয়েছে। তাছাড়া বিবাদীরা প্রকৃত খারাপ মানুষ। এলাকাবাসীর অনেকের কাছ থেকে দুবাই নেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে একজনকেও দুবাই নেয়নি।
বিবাদীদের কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুরে ধরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনা বাহিনী, দুর্নীতি দমন কমিশন ও থানায় অভিযোগ করেছেন বলেও তিনি দাবী করেন। কোথাও সুষ্ঠু বিচার পায়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন। তার ধারণা বিবাদীরা রাজনৈতিক প্রভাব ও টাকার জোরে প্রকৃত সত্য আড়ার করে রাখে।
এই বিষয়ে নুরুল হক খান বলেন, এই সম্পত্তি আমি আমার সন্তানের নামে বিভিন্ন ওয়ারিশদের কাছ থেকে ক্রয় করেছি। স্থানীয় সালিশীতেও আমার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আদালতে রাজ্জাক খান মামলা করেছে তবে সে ধার্য তারিখে আদালতে যায় না। আমি দুই বছর ধরে আদালতে ঘুরতেছি। আদালতের রায়ে আমি জমি পেলে ভোগ দখল করব। আদালতের রায় আমার বিপক্ষে গেলে আমি জমি ছেড়ে দিব।