পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানাকে বস্তাবন্দী করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত নিশি রহমানকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরের দিকে তাকে ঈশ্বরদী থানা থেকে পাবনা জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, রাত দেড়টার দিকে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ঈশ্বরদী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের পশ্চিম পাশে চতুর্থ তলার পূর্ব পাশের ফ্লাট হতে নিশি রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪২৯ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে আসামীকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯-এর ৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার ঘটনাটিকে “অমানবিক” উল্লেখ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
অপরদিকে, নৃশংস এই ঘটনার জেরে অভিযুক্তের স্বামী হাসানুর রহমান নয়নের পরিবারকে সরকারি কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবারই তাদের বাসা খালি করতে বলা হয়েছিল এবং তারা কোয়ার্টার ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে ।
উল্লেখ্য, গত রোববার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর গেজেটেড ভবনে বসবাসরত কর্মকর্তা নয়নের স্ত্রী নিশি খাতুনের বিরুদ্ধে কুকুরছানাগুলোকে বস্তায় ভরে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে।
ইউএনও কার্যালয়ের কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, সোমবার সকালে কর্মকর্তা দম্পতির ছেলে তাকে জানায়, তার মা নিজ হাতে ছানাগুলোকে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। পরে পুকুর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় আটটি মৃত ছানা উদ্ধার করা হয়।