প্রতি বছরের মতো এবারও ২০ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে যাকাতের কাপড় ও লুঙ্গি বিতরণ করলেন মানিকগঞ্জ-সাটুরিয়ার কৃতি-সন্তান ও বিশিষ্ট দানবীর জনাব ড. রফিকুল ইসলাম।
অত্র এলাকার প্রত্যেকটি গ্রামে ঘুর ঘুরে তিনি গরীব দুঃখী মানুষের মধ্যে এসব কাপড় ও লুঙ্গি বিতরণ করেন। ঈদের আগে নতুন শাড়ি, লুঙ্গী পেয়ে আবেগে আপ্লুত সাধারণ মানুষ। এ আয়োজনে যোগ দেয়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ড. রফিকুল ইসলামের প্রসংসা করেন।
উল্লেখ্য, সাটুরিয়া উপজেলার নওগাঁ গ্রামের সুর্য সন্তান ড. রফিকুল ইসলামের জন্য বিশেষ দিনগুলোতে এভাবেই অপেক্ষায় থাকে সাটুরিয়া-মানিকগঞ্জের হাজার হাজার অসহায় মানুষ। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাকাতের কাপড়-লুঙ্গি নিতে ছিল বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের আগে গরিব দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ড. রফিকুল ইসলাম সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে আসেন নিজ এলাকায়।
জানা যায়, শুধু ঈদ-উল-ফিতরের দিনেই নয়, সারা বছর, সব সময়ই তিনি সাটুরিয়া-মানিকগঞ্জের অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য এগিয়ে আসেন। তিনি যুব সমাজের উন্নয়নে মাদক ছাড়- খেলাধর, অসহায় দরিদ্র গৃহহীনের মাঝে ঘর বিতরন, ধর্মপ্রাণ দরিদ্র মুসলমাদের হজ্জ পালনে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান এবং আয়েশা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে হৃত-দরিদ্রদের নানান প্রকার অসুবিধায় সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকেন।
এ ব্যাপারে ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার সাটুরিয়াবাসী নানান দিক থেকে বৈষ্যমের শিকার। মানিকগঞ্জ-৩ আসনে সাটুরিয়া উপজেলাবাসী সংখ্যা গরিষ্ঠ হওয়া সত্বেও পাকিস্তানী শাসনের ন্যায় নানান দিক (অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক) থেকে এখানকার মানুষদের বঞ্চিত।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেরও বড় কোন রাজনৈতিক দল সাটুরিয়া উপজেলা থেকে কোন প্রার্থীকে এমপি মনোনয়ন দেন নাই। বিগত সময়ে যারাই এমপি নিবার্চিত হয়েছেন তারাই আখের ঘুছাতে ব্যস্ত থেকেছেন। সাটুরিয়া উন্নয়ন তথা সাটুরিয়ার মানুষের জন্য কিছুই করেন নাই।
তিনি বলেন, আমি আমার উপজেলার সর্বস্তরের মানুষকে ভালবাসি। যদিও আমি (আমেরিকা) প্রবাসী তথাপি সাটুরিয়া উপজেলার উন্নয়নে যে কোন ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত। আমি ব্যক্তিগত জীবনে নিঃসন্তান। সাটুরিয়া-মানিকগঞ্জের প্রতিটি মানুষই আমার সন্তান সমতুল্য। আমার জীবনের উপার্জিত সমস্ত সম্পদ দিয়েই আমি সাটুরিয়া-মানিকগঞ্জবাসীকে সেবা করতে চাই।
তিনি দুঃখের সাথে বলেন, বিগত সময়ে কিছু ফ্যাসিষ্ট রাজনীতিক, আমাকে বিভিন্ন ভাবে নাজেহালের চেষ্টা করেছে কিন্তু সমাজ সেবা থেকে বিরত রাখতে পারেন নাই। মানুষের কল্যাণে আমি আমার লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে অবিচল থাকব-ইনশাল্লাহ। এই সময় তিনি উপস্থিত সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করে আগামী পথ চলায় পাশে থাকতে আহব্বান জানান।
যাকাত প্রদান অনুষ্ঠান ঘিরে স্থানীয় মানুষের মধ্যে উৎসবমূখর পরিবেশ তৈরি হয়। অসচ্ছ্বল হাজারও নারী পুরুষ যাকাতের কাপড়-লুঙ্গি হাতে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে।
বয়োবৃদ্ধরাও লাঠিতে ভর করে এই আনন্দ ভাগাভাগির জন্য সামিল হন। তারা প্রাণ ভরে দোয়া করেন ড. মো. রফিকুল ইসলামের জন্য। এ সময় তীব্র গরমে অপেক্ষার পর প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয় ড. রফিকুল ইসলামের নাম।