চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কাগমারি এলাকায় এক প্রতিবন্ধী শিশুকে মুখে গামছা পেচিয়ে একটি আম বাগানে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে শাহবাজ পুর ইউনিয়নের কাগমারি এলাকার একটি জামে মসজিদে তারাবি নামাজ পড়তে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হচ্ছে, একই গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সাখাওয়াত হোসেন (১৯), মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ আব্দুর রহমান (১৩) এবং মোঃ বিশু মিয়ার ছেলে মোঃ বাবু মিয়া (১১)।
ভুক্তোভোগী শিশুটির মা, মামা ও স্থানীয় সুত্র জানায়, বৃহষ্পতিবার রাত ৮ টার দিকে বাক প্রতিবন্ধী শিশুটি কাগমারী জামে মসজিদে তারাবি নামাজ পড়তে আসলে অভিযুক্তরা সুযোগ বুঝে পার্শ্বের একটি আম বাগানে নিয়ে গিয়ে মুখে গামছা পেঁচিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। নামাজ শেষের পরও মেয়েকে না পেয়ে ঘটনার ২ ঘন্টা পর ঐ বাগান থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে।
শিশুটির পিতা বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শুক্রবার সকালে জানালে স্থানীয়রা ঐ ৩ জন অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ কে খবর দেয়। এদিকে, শিশুটির স্বজনরা শিশুটিকে চাঁপাইনবাব গঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
বর্তমানে শিশুটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয়রা ক্ষোভের সাথে বলেন, একজন বাক প্রতিবন্ধী শিশু কে আম বাগানে নিয়ে যেয়ে ধর্ষণ করেছে পাষন্ডরা। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা তিন ধর্ষককে আটকে রাখেছিলো। দুপুরে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দা করা হয়। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।
এদিকে, অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন স্থানীয়দের মারধরের পর তাদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি ও তার সহযোগী আব্দুর রহমান ২ জন মিলে ধ্বর্ষন করেছে এবং বাবু তাদের সহায়তা করেছে।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া জানান, এই ধরনের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাকাসীর হাতে আটক ৩ অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
শিশুটির পরীক্ষা নিরিক্ষার পর জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা। অভিযুক্তদের আটক করে থানার আনা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এঘটনা জানার পর দ্রুতই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে যান পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম বিপিএম সেবা।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম বিপিএম সেবা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের কে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইনগত ব্যাবস্থা চলমান রয়েছে। ভিক্টিমের চিকিৎসা চলছে এবং সুস্থ আছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।