মানিকগঞ্জে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কাজে বাধা ও হুমকির অভিযোগে শরিফুল ইসলাম শামীম নামে এক যুবদল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৬মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের শহীদ রফিক সড়কের উত্তরা ব্যাংক মোড়ে এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে শহরের ওই এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল শাহীন। এসময় শরিফুল ইসলাম শামীম নিজেকে জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে ওয়ান-ওয়ে সড়ক দিয়ে রিকশা নিয়ে যেতে চান। ট্রাফিক পুলিশ শাহীন তাকে নিয়ম মানতে বললে শামীম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।
ঘটনার একপর্যায়ে ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শামীম তাদের একটি মার্কেটের সামনে নিয়ে গিয়ে আবারও হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি মার্কেটের গেট বন্ধ করে পুলিশ সদস্যদের পেছনে আসতে বলেন এবং তার শক্তি দেখানোর হুমকি দেন।
পরে শামীম মোবাইল ফোনে কয়েকজনকে ঘটনাস্থলে ডাকেন, যারা এসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে শামীম উগ্র আচরণ করায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। এ ব্যাপারে জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন আহমেদ কবির বলেন, শরিফুল ইসলাম শামীম জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নন, তিনি শুধু একজন কর্মী।
এই ঘটনা ফেসবুকে দারুন সাড়া ফেলে। ভিডিও ক্লিপে শরিফুল ইসলাম শামীমকে সরাসরি পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে বাক-বিতন্ডা করতে দেখা যায়।
এই নিয়ে বিভিন্নজন ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য প্রকাশ করেন। সাটুরিয়া যুবদলের যুগ্ন-আহ্ববায়ক এ্যাড. অমিত হাসান তার ওয়ালে লেখেন-
মানিকগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হামিদ বলেন, শহরের যানজট নিরসনে শহীদ রফিক সড়কটি ওয়ান-ওয়ে করা হয়েছে। সন্ধ্যায় শামীম ওয়ান-ওয়ের নিয়ম ভেঙে রিকশা নিয়ে যেতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশ তাকে বাধা দেয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের কাজে বাধা ও হুমকি দেন। পরে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ্ বলেন, দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগে শামীম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।