বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাটপনিউজ২৪.কম-এ দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। সরাসরি যোগাযোগ করুন -banglatopnews24@gmail.com. মোবাইল-০১৭৪৩৯৯৮৭৪১.
শিরোনাম :
ঐকমত্য নয় জাতীয় বিভাজন তৈরির ঝুঁকি হয়েছে- সালাহউদ্দিন গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কারের পরামর্শ সাটুরিয়ায় বাঁশের সাঁকো থেকে পিছলে পড়ে শিশুর মৃত্যু ! তুরস্কে ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প ! মানিকগঞ্জে গার্মেন্টস কারখানার সিওও কর্তৃক সরকারি কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনার ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টার অভিযোগ নির্বাচনী জোট নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: সারজিস সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ আশুলিয়ায় থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ! মানিকগঞ্জে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ভুয়া আইনজীবী আটক ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী

ঈদ মৌসুমেও সাটুরিয়ার তাতঁপল্লীতে চলছে হাহাধ্বনি !

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম
  • আপডেটের সময়: শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫
  • ২৭৮ সময় দেখুন

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় তৈরি লুঙ্গি ও শাড়ির চাহিদা সারাদেশে। কিন্তু দফায় দফায় সুতাসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে ভারতীয় শাড়ির সহজলভ্যতার কারণে এক সময়ের প্রাণচাঞ্চল্যময় সাটুরিয়ার তাঁতপল্লিতে এবার ঈদের আগেও নেই ব্যস্ততা। কারিগররা ঈদ মৌসুমেও অলস সময় পার করছেন।

উপজেলার সাভার, চাচিতারা, জালশুকা ও নতুন ভোয়া এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ব্রিটিশ আমলে গড়ে ওঠা শতবর্ষ পুরোনো ঐতিহ্যবাহী এ তাঁতপল্লী ঈদ এলেই তাঁতের খটখট শব্দ, আর ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠত। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। এতে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

কিছুদিন আগেও দক্ষ কারিগরের নিখুঁত হাতে বুননের জন্য এখানকার তাঁতের তৈরি লুঙ্গি ও শাড়ির ব্যাপক কদর ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির পর দফায় দফায় সুতার দাম বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট ও দেশীয় বাজারে ভারতীয় শাড়ির সহজলভ্যতায় তাঁতপল্লির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। লোকসান গুনে গুনে দিশেহারা হয়ে এরইমধ্যে অনেকে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন অনেক কারিগর।

সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ সাভার তাঁতপল্লিতে কাজ হাবিল মিয়া। তিনি বলেন, কিছু কিছু কাজ পাই। চাচিতারা থেকে ২ কিলোমিটার পথ হেটেঁ আগ-সাভারে কাজে আসি বেশি সমযই কাজ পাই না। হাটে কেনা-বেচার পরিস্থিতি খুব খারাপ। তাই মালিক নিয়মিত বিল দিতে পারে না। তাই ভাবছি অন্য পেশা বেছে নিবো। ঈদের পর চাকরি খোঁজার জন্য ঢাকায় যাবো।

চাচিতারা গ্রামের তাতঁ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, করোনার পর থেকেই আমাদের তাঁত ব্যবসা নেই বললেই চলে। সারা বছরে দুই মাস ভালো গেলেও, এখন পুরোদমে মন্দা চলছে। এই ব্যবসায় আর টিকতে পাছি না। সামনে ঈদ। হাতে কোন টকা পয়সা নাই। কি খাবো? বাচ্চাদের কি কিনে দিবো? নানান টেনশনে আছি। তাই স্থির করছি, ব্যবসা ছেড়ে প্রবাসে গিয়ে দিন মজুরের কাজ করবো।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর...
© All rights reserved © ২০২৫ বাংলা টপ নিউজ ২৪
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD