ইরান যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করার অথবা হামলার মুখে পড়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে, তবে ইরান প্রতিবেশী দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সহায়তা করে, তাহলে তারা হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করার অথবা বোমা হামলা চালানোর ব্যাপারে মার্কিন দাবির বিরোধিতা করেছে। সেই সাথে মার্কিন ঘাঁটি স্থাপনকারী প্রতিবেশীদের সতর্ক করে বলেছে, কেউ এতে জড়িত থাকলে তারাও যুদ্ধের সীমানায় পড়তে পারে। রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
তিনি বলেছেন, ইরান সরাসরি আলোচনার চেয়ে ওমানের মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে যেতে চায়, যা দুই দেশের মধ্যে বার্তা পাঠা-নোর জন্য একটি পুরনো চ্যানেল। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘পরোক্ষ আলোচনার মাধ্যমে আমরা দেখতে পারব যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে কতটা সিরিয়াস।’
তিনি বলেন, যদিও সেই পথটি ‘কঠিন’ হতে পারে, তবে মার্কিন বার্তা যদি এটিকে সমর্থন করে তবে এই ধরনের আলোচনা শীঘ্রই শুরু হতে পারে।
ইরান ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনকে সতর্ক করেছে যে, যদি তারা ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সহযোগিতা করে, যেমন তাদের আকাশসীমা বা ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দেয়, তবে সেটি শত্রুতার কাজ হিসেবে গণ্য হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটি তাদের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে,’ এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই ইরানের সামরিক বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতার মধ্যে রেখেছেন।
বুধবার, ইরানি রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানায় যে, কুয়েত ইরানকে আশ্বস্ত করেছে যে, তারা তার মাটি থেকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে দেবে না।
ইরান তার মিত্র দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে আরও সমর্থন লাভের চেষ্টা করছে, তবে রাশিয়ার প্রতি ইরানের আস্থা তেমন দৃঢ় নয়, দ্বিতীয় এক ইরানি কর্মকর্তা জানান। সূত্র- রয়টার্স