॥ শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥ জাজিরা উপজেলা সদরের আক্কেল মাহমুদ মুন্সী কান্দি গ্রামের অজুফা বিবি ও মাইনদ্দিন চৌকিদারদের মধ্যে দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। সেই মামলায় উভয় পক্ষকে নিজ নিজ অবস্থানে থাকার জন্য আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৪ বছর পরে বিরোধীয় জমিতে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বিবাদী পক্ষ।
অভিযোগকারী বাদী অজুফা বেগম জানায়, পৈত্রিক সম্পত্তির দাবীতে সে আদালতে মামলা করেছে। জমির উপরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেছে বিবাদী পক্ষ। আদালতে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নালিশী জমিতে কেউ যেন কাজ করতে না পারে এমন দাবী জানিয়েছেন বাদী অজুফা বেগম।
বিবাদী মাইনদ্দিন চৌকিদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন জানায়, ৫ বছর পূর্বে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। মামলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ ছিল।
এখন জাজিরা থানার ওসি, স্থানীয় সালিশ ইউনুছ বেপারী, শামসু বেপারী, হালেম বেপারী, মিলন চৌকিদারসহ অনেকে আমাকে নির্মাণ কাজ শুরু করতে বলেছে। তাই পুণ:রায় নির্মাণ শুরু করেছি। আদালতের আদেশে যদি বাদী পক্ষ যদি জমি পায় দিয়ে দিব।
হুকুম দাতা মিলন চৌকিদার জানায়, সে বিরোধীয় জমির নারী নক্ষত্র জানে। ১৯৬৫ সাল থেকে জমি বিবাদীদের দখলে তাই সে বিরোধীয় জমিতে বিবাদীকে ভবন নির্মাণের হুকুম দিয়েছেন।
এই বিষয়ে জজিরা থানা অফিসার ইনচার্জ দুলাল আখন্দ বলেন, সে ভবন নির্মাণের কোন আদেশ প্রদান করেনি। পুলিশ উপ-পরিদর্শক কায়কোবাদ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। বিষয়টি সেই বলতে পারবে।
পুলিশ উপ-পরিদর্শক কায়কোবাদ জানায়, সে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। চাকুরীতে সে নবিন তাই আদালতের বিষয়টি তার জানা ছিল না। সে কোট পুলিশ পরিদর্শকসহ অনেক সিনিয়র অফিসারদের সাথে আলোচনা করে কোন সিদ্ধান্ত পায়নি। তাই নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে পারেনি।