ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার হামলার বিষয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আত্তান এলাকা, আসির এলাকার একটি স্যানিটেশন প্রকল্প, ফুরওয়াহ পাড়া এবং শোব জেলার একটি ব্যস্তবহুল বাজার লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এলাকাগুলো বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গত সপ্তাহে ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭৪ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়। পাল্টা জবাবে গত ১৮ এপ্রিল ইসরায়েলের প্রধান ও বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হুতিরা।
শুধু বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরেই নয়; এদিন লোহিত সাগর ও আরব সাগরে টহলরত মার্কিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার জাহাজ লক্ষ্য করেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হুতি গোষ্ঠী।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের একটি এমকিউ-৯ ড্রোন ভূপাতিতও করার দাবি করা হয়। হামলা চালানোর পর এক বিবৃতিতে হুতি গোষ্ঠীর মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি হামলা অব্যাহত রাখে তাহলে পাল্টা হামলা, সংঘাত ও সংঘর্ষের পরিমাণও বাড়বে, কমবে না। ’
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতিরা লোহিত ও আরব সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালি এবং আদেন উপসাগর দিয়ে যাতায়াতকারী জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে।
যে কারণে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্চের মাঝামাঝি সময়ে হুতি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘শক্তিশালী সামরিক পদক্ষেপ’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং পরে তাদের সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার হুমকি দেন।
তবে জানুয়ারিতে গাজায় ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর হামলা বন্ধ করে দেয় হুতিরা। কিন্তু গত মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি না মেনে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় ফের হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে পুনরায় হামলা শুরু করে গোষ্ঠীটি।