মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাটপনিউজ২৪.কম-এ দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। সরাসরি যোগাযোগ করুন -banglatopnews24@gmail.com. মোবাইল-০১৭৪৩৯৯৮৭৪১.

পদ্মায় ডুবল রংপুর !

Reporter Name
  • আপডেটের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২২১ সময় দেখুন

এবারের বিপিএলে কী দুর্দান্ত ফর্মেই না রয়েছে রংপুর রাইডার্স। একের পর এক ম্যাচ দাপট দেখিয়েছিল জিতে চলছিল তারা। টানা ৮ ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করেছিল প্লে’অফও। এক কথায় হয়ে উঠেছিল অপ্রতিরোধ্য, অজেয়। সেই রংপুর কিনা ডুবলো পদ্মার জলে!

অজেয় দলটিকে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দিলো পদ্মাপাড়ের দল দুর্বার রাজশাহী। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি, ২০২৫) বিকেলে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তাদের ২৪ রানে হারিয়েছে তাসকিন বাহিনী। টসে হেরে রাজশাহী আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৭০ রান তোলে। জবাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১৯.২ ওভারে ১৪৬ রানে থামে রংপুর।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে উইকেট হারায় রংপুর। ইরফান শুক্কুর তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন সিলভার ডাক মেরে। দলীয় রান তখন মাত্র ১। ১৫ রানের মাথায় গিয়ে জোড়া উইকেট হারায় চ্যাম্পিয়ন দলটি। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান স্টিভেন টেইলরকে এবার বোল্ড করেন মেহেরব হোসেন। ১০ বলে ৪ রান করেন তিনি। পরের বলেই নতুন ব্যাটসম্যান ইফতিখার আহমেদকে ফেরান মেহেরব।

সেখান থেকে সাইফ হাসান ও খুশদীল শাহ ৪০ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার আভাস দেন। কিন্তু ৫৫ রানে খুশদীল কে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাব্বির হোসেন।দলীয় ৭৪ রানের সময় হাত খুলে খেলতে শুরু করা সাইফকে ফিরিয়ে রংপুরের সম্ভাবনার লাগাম টেনে ধরেন শফিউল ইসলাম। সাইফ ২৯ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রানের ইনিংস খেলে যান। ৯১ রানের মাথায় মাহেদী হাসান ফিরেন ৮ রান করে। তাকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন রায়ান বার্ল।

একপ্রান্ত আগলে রংপুরের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ২ চার ও ৪ ছক্কায় ২৬ বলে তুলে ফেলেছিলেন ৪১ রানও। কিন্তু ১৭তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১২৯ রানের মাথায় বার্লের দ্বিতীয় শিকার হয়ে তিনি ফিরলে রংপুরের আশার বাতি নিভে যায়। পরাজয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

এরপর ১৩৭ রানে আকিফ জাভেদ বার্লের দ্বিতীয় শিকার হন ব্যক্তিগত ১ রানে। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে ফিরিয়ে বার্ল ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকারের কোটা পূরণ করেন। রংপুরের রান তখন ১৪৪। ১৪৬ রানের মাথায় নাহিদ রানাকে বোল্ড করে তাসকিন রংপুরের ইনিংসের যবনিকাপাত ঘটান।

বার্ল ছাড়া তাসকিন ৩.২ ওভারে ২০ রানে ২টি ও মেহেরব ৩ ওভারে ১ মেডেনসগ ১৯ রানে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন শফিউল ও সাব্বির হোসেন। দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচসেরা হন বার্ল।

তার আগে রাজশাহী ১৭০ রানের পুঁজি পায় মূলত ইয়াসির আলী রাব্বি ও সাব্বির হোসেনের কার্যকরী দুই ইনিংসে ভর করে। দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সম্ভাবনা জাগিয়েও দুইশ রান করতে পারেনি পদ্মাপাড়ের দলটি।। শেষ ২৫ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৮ রান জড়ো করতে পারে আসকিনের দল।

রাজশাহীর ওপেনার মোহাম্মদ হারিস প্রথম ওভারেই রাকিবুল হাসানের বলে ক্যাচ তুলেও জীবন পান। এরপরও ব্যক্তিগত ইংসটি বড় করতে পারেননি এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। সেই রাকিবুলের বলে ক্যাচ দিয়েই ফেরেন ১২ বলে ১৯ রান করা এই ওপেনার। তবে রানের চাকা সচল রাখেন সাব্বির এবং এনামুল হক বিজয়।

পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বোলিংয়ে আসলে তাকে ছক্কা মেরে স্বাগত জানান সাব্বির। পরের দুই বলে আরও দুটি চার মারেন তিনি। ফলে ৪.৩ ওভারের মধ্যেই পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় রাজশাহী। পঞ্চম ওভারে সাইফউদ্দিন দেন ১৬ রান। ষষ্ঠ ওভারে আকিফ জাভেদের বলে সাব্বির-বিজয় মিলে নেন ৯ রান। ফলে পাওয়ার প্লে’তে ছয় ওভারে এক উইকেটে ৬২ রান তোলে রাজশাহী।

২৪ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর সাব্বির-বিজয় মিলে গড়েন ২৮ বলে ৫২ রানের জুটি। ১৯ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৯ রান করা সাব্বির খুশদিল শাহর বলে ছয় মারতে গিয়ে সাইফুউদ্দিনের দুর্দান্ত এক ক্যাচের পরিণত হন। পরেই বলেই রায়ান বার্লকে শূন্যহাতে ফেরান খুশদিল। দলীয় সংগ্রহ তখন ৭৬ রান।

তৃতীয় উইকেট হারানোর পর বিজয় এবং ইয়াসিরের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে রাজশাহী। ৩৫ বলে এই জুটি পঞ্চাশ রান তোলে। ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে যান ইয়াসির। সাইফউদ্দিনের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৭৬ রানের এই জুটিও ভাঙেন খুশদিল।

এই পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনারকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিস টাইমিং করে সোহানের ক্যাচে পরিণত হন ইয়াসির। দলীয় রান তখন ১৫২। এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান ৩২ বলে ২টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৬০ রান করে রাজশাহীকে দারুণ ভিত দিয়ে যান।

তবে ইয়াসিরের তৈরি করা ভিতকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় রাজশাহী। দুই বল পরেই আকবর আলীর সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে ফেরেন ৩১ বলে ৩৪ রান করা বিজয়। এরপর তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটিং অর্ডার। আর কোন ব্যাটসম্যানই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।

তাতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানেই থামে তাসকিন আহমেদের দল। আকিভ ও খুশদিল ৩টি করে উইকেট নেন রংপুরের পক্ষে।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর...
© All rights reserved © ২০২৫ বাংলা টপ নিউজ ২৪
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD