শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাটপনিউজ২৪.কম-এ দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। সরাসরি যোগাযোগ করুন -banglatopnews24@gmail.com. মোবাইল-০১৭৪৩৯৯৮৭৪১.

বন অধিদপ্তরে চাকুরী মানে গুপ্ত ধনের সন্ধান

Reporter Name
  • আপডেটের সময়: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
  • ৯৪ সময় দেখুন

 

বন অধিদপ্তরে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে ১২ বছর চাকুরি করে গুপ্ত ধনের সন্ধান পেয়েছেন জসিম উদ্দিন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি। তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের (মডার্ণ স্কুল এলাকার) কৃষক এসকান আলী হাওলাদারের পুত্র। এলাকাবাসীর ধারণা করছেন বন অধিদপ্তরে চাকুরী করে জসিম গুপ্ত ধন পেয়েছেন।

জসিম উদ্দিন হাওলাদার ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, এসকান আলী হাওলাদারের বড় ছেলে মতলেব হাওলাদার মাহমুদপুর ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি আলাদা বাড়ি তৈরী করে বসবাস করছেন। অপর ছেলে মোশারফ হাওলাদার দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসে ছিলেন। সেও ঢাকায় বাড়ি করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। জসিম উদ্দিন ছিলেন ভাইদের মধ্যে ছোট। কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না হওয়ায় চাকুরির বয়স শেষ হওয়ার পূর্ব মূহুর্তে বন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে জসিম চতুর্থ শ্রেণি পদে চাকুরি পায়।

তিনি ২০১৩ সালের জুলাই মাসে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে পার্বত্য জেলা রাঙ্গা মাটি ও খগড়াছড়িতে একযুগ দায়িত্ব পালন করেন। প্রথমে তার বেতন কাঠামো ছিল ৪ হাজার ১০০ টাকা স্কেলে। ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেলে ২০তম গ্রেডের আওতায় গিয়ে বেতন স্কেল দ্বিগুন হয় তার। দীর্ঘ ১০ বছর ২০তম গ্রেডে চাকুরি করার পরে ২ বছর ধরে তৃতীয় শ্রেনিতে পদোন্নতি পাওয়ায় ১৭তম গ্রেডে এখন বেতন পান জসিম উদ্দীন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বন অধিদপ্তরে চাকুরির এই স্বল্প সময়ে তিনি স্ত্রী-সন্তান ও পিতা-মাতার চাহিদা পূরণ করে জমি ক্রয় ও বহুতল ভবন নির্মাণে সক্ষম হয়েছেন। সুনামের সাথে কাজ করেও তিনি চলতি বছরের ১৮ মে (স্ট্যান্ড রিলিজ আদেশ) তার বর্তমান কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। পরে তিনি ২৪ মে বগুড়া সার্কেলে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি দিনাজপুর ডিভিশনের নবাবগঞ্জ বিটে কর্মরত রয়েছেন।

তিনি তার পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারিশ মতলেব হাওলাদারের অংশ ক্রয় করে সেখানে ১ হাজার ৮০০ বর্গ ফুটের দ্বিতল ভবনের প্রথম তলা নির্মাণ সম্পন্ন করেছেন। সন্তানদের আবাসিকে রেখে লেখাপড়া করান। বিত্তবানদের মতো এলাকায় চলাফেরা করেন। ঘরেও রয়েছে দামী আসবাবপত্র। চাকুরী পাওয়ার পর থেকে তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। ঠিকাদার নিয়োগ করে আধুনিক ডিজাইনে বাড়ির কাজ শুরু করেন। এতো টাকার মালিক কি ভাবে হয় এলাকায় এমন গুঞ্জন শুরু হওয়ায় সে দ্বিতীয় তলার কাজ বন্ধ রাখেন।

বন অধিদপ্তরে ছোট পদে চাকুরী করে বহুতল ভবনের মালিক হওয়ার রহস্য জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন বলেন, রাঙ্গা মাটি, খাগড়াছড়ির দিখিনালা এলাকায় যখন বসবাস করতেন তখন সন্তানদের পড়ালেখা খরচ কম ছিল। সেখানে খাবার খরচও কম। তাছাড়া তখন তিনি অফিসের কিছু টালি খাতা লিখতেন। সেখান থেকেও অনেক টাকা পেতেন। বর্তমানে তিনি ১৭তম গ্রেডের আওতায় ২৯ হাজার টাকা বেতন পান। তিনি কোন দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। সম্পদের বিবরনীতেও তিনি তার সম্পদের হিসেব দেখিয়েছেন বলে তিনি দাবী করেন। বিল্ডিং তৈরী করতে গিয়ে তিনি ধার দেনা করেছেন। এখনও ধারের টাকা শোধ হয়নি।

তবে এলাকাবাসী জানায়, বন অধিদপ্তরে চাকুরী করে জসিম উদ্দিন এখন অর্থে-বিত্তে ভালোই আছে। জমি ক্রয় করে দালান করেছে। স্ত্রী-সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে তার সংসার। সকলকেই ভালো রাখতে চেষ্টা করে। ঈদে ও উৎসবে অর্থ ব্যয় করে। তাছাড়া এলাকায় দাপটের সাথে চলাফেরা করে। তবে তার অর্থের উৎস সম্পর্কে কেউ জানে না বলে দাবী করে এলাকাবাসী।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর...
© All rights reserved © ২০২৫ বাংলা টপ নিউজ ২৪
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD

Warning: PHP Startup: Unable to load dynamic library 'mysqli.so' (tried: /opt/alt/php82/usr/lib64/php/modules/mysqli.so (/opt/alt/php82/usr/lib64/php/modules/mysqli.so: undefined symbol: mysqlnd_global_stats), /opt/alt/php82/usr/lib64/php/modules/mysqli.so.so (/opt/alt/php82/usr/lib64/php/modules/mysqli.so.so: cannot open shared object file: No such file or directory)) in Unknown on line 0