শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥ শরীয়তপুরের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এসব ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তিনি ভাড়া গাড়িতে ঢাকায় চলে গেছেন বলে জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা আরো জানিয়েছেন ডিসি ছুটিতে গেছেন। বিষয়টি জেলা ও সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে।
ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ওই নারী জানায়, বিভিন্ন কৌশলে তাকে ফাসিয়েছে ডিসি। বিয়ের প্রলোভনও ছিল প্রতারণামূলক। আমার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে আমাকে বিয়ে করেনি। ওই নারী শরীয়তপুরের একজন গমমাধ্যম কর্মির সাথে যোগাযোগ করেছেন।
সেখানে তিনি দাবী করেন, আশরাফ উদ্দিন তাকে বিয়ের কথা বলে স্বামীর সাথে ডির্ভোস করিয়েছেন, সংসার ভেঙ্গেছেন। এখন বিয়ে না করে মেরেফেলার হুমকি দিচ্ছেন।
ঘুমের ঔষধ খেয়ে, নেশা করে আত্মহত্যা করার ভয় দেখিয়ে তার প্রতি আমাকে দুর্বল ও আসক্ত করেন। এক বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক চলছে। বিয়ের জন্য বললে আমার ছবি ও ভিডিও সে ভাইরাল করে দিবে এমন হুমকিও দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ডিসি আশরাফ উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ছবি ও ভিডিওতে থাকা নারী ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের আত্মীয়। আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণে তাদের সম্পর্ক হয়। প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও কিছু সত্য এবং কিছু সংগৃহিত। তবে ওই নারী তালাকপ্রাপ্ত।
তিনি আরো বলেন, ফেসবুকে ছবি-ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে ওই নারী প্রচুর টাকাও নেয়। ভিডিওতে থাকা ওই নারীর বাড়ি টাঙ্গাইলে। তিনি স্বামীর সঙ্গে ঢাকার মিরপুর এলাকায় থাকতেন। ডিসি আাশরাফ উদ্দিনের বাসাও মিরপুরে । স্বামীর সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর তিনি টাঙ্গাইলে বসবাস করছেন।
তবে ওই নারীর সাথে তার সম্পর্ক ছিল বলেও তিনি দাবী করেছেন। দুই মাস ধরে ডিসি ও ওই নারীর মধ্যকার বিরোধ আইনজীবীর মাধ্যমে মধ্যস্থতার চেষ্টা চলছিল। মধ্যস্থতায় কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় এমন ছবি ও ভিডিও মানুষের সামনে চলে এসেছে।
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাসুদুল আলম বলেন, ডিসি স্যার ছুটিতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করে রাতে তিনি ঢাকায় গেছেন।
অবর্তমানে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব কে পালন করবেন তা জানানো হয়নি। তিনি কবে ফিরে আসবেন, তাও আমরা বলতে পারছি না।