ময়মনসিংহের ভালুকায় ভাড়া বাসায় এক নারী ও তার দুই ছেলেমেয়েকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এর পর থেকে ওই নারীর দেবর নজরুল ইসলাম পলাতক আছেন।নিহতরা হলেন—রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার (২৫) এবং তার দুই শিশু সন্তান রাইসা আক্তার (৪) ও নিরব মিয়া (২)। রফিকুল নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চেলের ঘাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি ভালুকায় একটি কারখানায় চাকরি করেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) ভোররাতে ভালুকা পৌর শহরের টিএনটি রোডের হাইয়ুমের বাসা থেকে ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ময়না আক্তার ভালুকার রাজই ইউনিয়নের কুল্লাব এলাকার বাসিন্দা। ২০১৭ সালে রফিকুলের সঙ্গে ময়নার বিয়ে হয়। তারপর থেকে রফিকুল স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভালুকায় বাস করতেন। দেড় মাস আগে পৌর শহরের টিএনটি রোডের হাইয়ুমের বাসা ভাড়া নেন তারা। একই বাসায় বাস করতেন রফিকুলের ভাই নজরুল ইসলাম।
ওসি আরো জানান, রবিবার রাতে রফিকুল কারখানায় ডিউটিতে যান। সকালে রফিকুল বাসার গেট বন্ধ পেয়ে স্ত্রী-সন্তানকে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তার কক্ষ বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পান। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। রফিকুল থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “রফিকুলের সাথে একই বাসায় ভাড়া থাকতেন তার ভাই নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলামের রুম তল্লাশি করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা জব্দ করা হয়েছে।
আমরা মোটামুটি নিশ্চিত—নজরুল পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে তার ভাবি-ভাতিজা-ভাতিজিকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”