মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ ইউনিয়নের চেযারম্যান আনোয়ার হোসেন খান (জ্যোতি) উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক স্বপনের আপন মামাতো ভাই।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে আনোয়ার হোসেন খান (জ্যোতি) ইউনিয়ন পরিষদে অনিয়মিত। মাঝেমধ্যে পরিষদে এলেও অসুস্থ্যতার অযুহাতে র্দীঘদিন ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন না বলে অভিযোগ। যার ফলে ঐতিহ্যবাহী হরগজ ইউনিয়নের আপামর জনসাধারন চেয়ারম্যানের সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, জনরোষ এবং পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতেই তিনি আত্মগোপনে আছেন। তবে, লুকিয়ে থেকেই পরিষদের গ্রাম পুলিশদের (চৌকিদার) দিয়ে বিভিন্ন জনগণ ও দপ্তরের বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে টিকিয়ে রেখেছেন।
এই বিষয়ে, ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারুক হোসেন জানান, ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিনি ছুটি নিয়েছেন। আশা করি, ৩১ জুলাইয়ের পর পরিষদের দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রমতে, চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত, ৭ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত, ১৩ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত এবং ২৯ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নিয়েছিলেন। এ‘ছাড়া তার বিরুদ্ধে ভোট ছাড়া নিজের পছন্দ মতো প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন করার অভিযোগও রয়েছে।
এলাকাবাসীর মতে, মন্ত্রীর মামাতো ভাই হওয়ায় নিজ ইউনিয়নসহ পুরো উপজেলায় চুষে বেড়িয়েছেন আনোয়ার হোসেন খান (জ্যোতি)।
নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, মানিকগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে আউট-সোর্সিংয়ের নিয়োগ বাণিজ্য, হরগজ গরুর হাট নিয়ন্ত্রণ, টেন্ডারবাজি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাবার সরবরাসহ নানা ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলেও তার অপ্রতিরোধ্যতা জুলাই বিপ্লবের আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
সর্বোপরি, স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর তার নামে বেশ কয়েকটি মামলা হলেও, তিনি পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছেন যা জনমনে ব্যাপক জিজ্ঞাসার জন্ম দিয়েছে।