চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট চামুচা সীমান্তে আবারও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের পুশ-ইনের ঘটনায় ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে মহানন্দা (৫৯ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে ভোলাহাট ইউনিয়নের চামুচা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৯৬/২-এসের নিকট দিয়ে ভারতের ১১৯ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের কাঞ্চান্টার ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। বিজিবির চাঁনশিকারী বিওপি’র টহলদল খবর পেয়ে আন্তর্জাতিক সীমারেখা থেকে প্রায় ৮০০ গজ ভেতরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতদের বাড়ি যশোর, টাংগাইল, কুমিল্লা, খুলনা, রংপুর, লালমনিরহাট, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ ও ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন গ্রামে। তারা হলেন, মো. বিল্লাল হোসেন (৩২), বিষ্ণু বর্মণ (৩৪), মো. রবিউল ইসলাম (৩০), পিন্টু শেখ (৩০), মো. আনোয়ার হোসেন (৩৬), টিটু প্রামাণিক (৩০), মো. মেহেদী হাসান মুন্না (২৯), মো. সেলিম (২৯), মো. রুলাস (৩২), মেহের আলী (৩২), মো. রহমত (৪০), তহিল উদ্দিন সিকদার (৪০) ও মো. মোশারফ আলী (২১)।
মহানন্দা ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া এক প্রেসনোটে জানান, আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তারা ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে জীবিকার সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। পরে ভারতীয় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়। সাজা ভোগ শেষে বিএসএফের হাতে হস্তান্তর করা হলে সীমান্ত পিলার ১৯৬/২-এস দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়।
ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ভোলাহাট সীমান্তে আবারও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের পুশ- ইনের ঘটনায় ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের খাবার দেওয়া হয়েছে এবং তাদের পরিচয় সনাক্ত করা হচ্ছে। পরিচয় সনাক্ত হলে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, আটক হওয়া ১৩ জনের মধ্যে যদি কারো পরিচয় সনাক্ত না হয়, তাহলে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। জানা গেছে, একই উপজেলা দিয়ে তিন মাস আগে বিএসএফ আরও ৭ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছিল।