একটি সাম্য-সমতার বাংলাদেশ গড়ে তুলার লক্ষ্যেই জাতীয় নাগেরিক পার্টির জন্ম। উঁচু-নিচু, ধণি–গরিবের পার্থক্য ঘুচিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে ব্যক্তির অবস্থান নিশ্চিত করণে জাতীয় নাগরিক পার্টি বদ্যপরিকর। আমরা বিশ্বাস করি, দেশ ও জাতী গঠণে সততা, নিষ্ঠা, দক্ষ ও মেধাবী নেতৃত্বের বিপল্প নাই। জাতীয় নাগরিক পার্টি বিশ্বাস করে একটি আদর্শীক সমাজ গঠণে সবার্গ্রে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ‘জাতীয় স্বার্থকে অগ্রধীকার দিতে হবে।
স্বাধীনতার ৫৫ বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ অব্দি আমরা কোন সঠিক ও দেশ প্রেমিক নেতৃত্ব পাইনি। দেশ স্বাধীনের পরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই মূলতঃ জনসেবার স্লোগান দিয়ে লুন্ঠন, চাদাঁবাজী ও সন্ত্রাসের দ্বারা নিজেদের ক্ষমতাকে ধরে রেখে, এদেশের জনগণকে শোষণ করেছে, রাষ্ট্রিয় সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। ব্যক্তিক প্রয়োজন ও ভোগ-বিলাশীতায় জীবন কাটাতে ব্যতি ব্যাস্ত থেকেছে। তারা রাজনীতির পথকে রক্তাক্ত করেছে সততার উপরচাকু চালিয়ে। অকারণে হত্যা করেছে দেশ প্রেমিক জাতীয় বীরদের। যা সত্যিই বাঙ্গলী জাতির জন্য চরম দুভার্গ্যের বিষয়।
২৪শে জুলাইয়ের পর দেশের রাজনীতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। জেগে উঠেছে, এ দেশের তরুন ও ছাত্রসমাজ। সুশিক্ষিত এই শ্রেণীরা এখন দেশ সেবা ও শাসনে অংশিদারিত্ব চায়। তারা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে চায়। জীবন বাজী রেখে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সম-অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। আর এই স্লোগান কে বুকে ধারন করেই বাংলাদেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির জন্ম হয়েছে।
সনাতন আমলের ধ্যান-ধারনাকে পিছনে ফেলে জাতীয় নাগরিক পার্টি একটি তরুন নেতৃত্ব বিশ্বাস করে। সত্য, সুন্দরের পথে তারা রাজপথে বুকের তাজা রক্ত দিতে সর্বদা প্রস্তুত। রাজনীতিকে দখলবাজ, চাটুকার, সন্ত্রাসী ও লুটেরাদের হাত হতে মুক্ত করতে অ-কোতুভয় সেনানী। তারা, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিকে বিলোপ করে একটি সার্বজনীন সম-অধিকার ভিত্তির রাজনীতি চালু করতে চায়।
জাতীয় নাগরিক পার্টি বিশ্বাস করে, আমলাতান্ত্রিক আধিপত্য খর্ব করে, এ দেশের কৃষক-শ্রমিক ও মজুরের অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই বাংলাদেশের গণ-মানুষের মুক্তি মিলবে।
-মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান সমুন্বয়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি, সাটুরিয়া উপজেলা শাখা।