সারাদেশের ন্যায় সাটুরিয়া উপজেলাধীন সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেনী হতে নবম শ্রেণীর শিশুদের ‘টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি-২০২৫ অব্যাহত রয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় সরকার সারাদেশে ৫ কোটিরও বেশি শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) প্রদান করবে।
আজ মঙ্গলবার সাটুরিয়া উপজেলাধীন চাচিতারা সরকারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লক্ষ্য করা গেছে টিকাদান কর্মসূচীর ব্যস্ততা। অভিভাবকসহ শিশুদের ব্যাপক উপস্থিতিতে টিকা প্রদানে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন টিকাপ্রদানকারী কর্মীরা।

এ ব্যাপারে টিকাপ্রদানকারীকর্মী, দিঘলীয়া ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (এসডব্লিউএ) রত্না আক্তার জানান, এবারকার টিকা প্রদানে আমরা শিশুদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতাও আশানুরুপ। সব মিলিয়ে আশা করছি, আমরা এবার শতভাগ টিকা নিশ্চিত করতে পারবো।
টিকা প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি আরো জানান, অভিভাবকদের আগে অনলাইনে vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে শিশুদের জন্মসনদ অনুসারে নাম নিবন্ধন করতে হচ্ছে। নাম নিবন্ধনে সাহায্য করছেন নিদিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ সকল সহকারী শিক্ষকগণ। তারপর আমরা নিদিষ্ট রেজিস্ট্রৈশন দেখে শিশুদের টিকা প্রদান করেছি।তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছেন, জন্মসনদ না থাকলেও কোনো শিশু বাদ যাবে না। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য সব শিশুকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা।
উল্লেখ্য, সারাদেশে ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত প্রথম ধাপে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া হবে- যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা (আলিয়া ও কওমি) এবং ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে টিকা দেওয়া হবে ১ থেকে ১৩ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
টাইফয়েড জ্বর বাংলাদেশের সবচেয়ে মারাত্মক টিকা-প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলোর মধ্যে একটি, যা সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট। এই রোগ নির্মূল করাই টিকাদানের মূল লক্ষ্য।’