মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় পরকীয়ার সূত্রে জড়িত মূলহোতা সুজনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে টাঙ্গাইলের নাগরপুর এলাকা থেকে র্যাবের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
নিহতরা হলেন, শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল রাজ্জাক শেখের স্ত্রী স্মৃতি বেগম (৩০) এবং তাদের তিন বছরের কন্যা মরিয়ম।
ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের সাঈদ শেখের ছেলে বিদেশ ফেরত সুজনের সাথে স্মৃতির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সুজন বাড়ি আসার পর স্মৃতি তার সাথে কথা বলে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এর মধ্যে সুজনের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে সুজন স্মৃতি বেগম ও তার কন্যা মরিয়ম কে হত্যা করে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন শুক্রবার সকালে যমুনা নদীর তীরে মরিয়মের মরদেহ ভেসে ওঠে।
ঘটনার রাতে সুজন ফোনে ডেকে নিয়ে স্থানীয় একটি পেয়ারা বাগানে স্মৃতিকে গলা টিপে হত্যা করে। এ সময় ঘটনাটি দেখে ফেলায় তার ছোট মেয়ে মরিয়ম কেও হত্যা করে। মরিয়মের মরদেহ গলায় দড়ি বেঁধে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়, আর স্মৃতির লাশ বস্তায় ভরে নদীতে নিক্ষেপ করে সুজন।
নিহত স্মৃতির স্বামী আব্দুল রাজ্জাক শেখ বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতভর আমি মাছ ধরতে নদীতে ছিলাম। পরদিন সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি আমার মেয়ে মরিয়মের মরদেহ নদীতে ভেসে উঠেছে। এরপর থেকেই স্ত্রী স্মৃতির কোনো সন্ধান পাচ্ছি না।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, ২৪ অক্টোবর সকালে যমুনায় শিশুর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। লাশ উদ্ধার ও পরিচয়ে সনাক্তের পর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়।
ভিক্টিমের মোবাইল ফোনের কল সূত্র ধরে ঘটনার তথ্য-উপাত্ত্বের ভিত্তিতে বিদেশ ফেরত সুজনকে আটক করি। তার স্বীকারোক্তিতে লাশ উদ্ধারের জন্য ডুবুরির দল নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে, স্মৃতির লাশ এখনো পাওয়া যায়নি।