দিল্লিতে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ (সিএসসি) থেকে পারস্পরিক সহায়তা এবং আঞ্চলিক শান্তি রক্ষার বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে দিল্লি সফরে রয়েছেন তিনি।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই লিখেছে, বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর)সিএসসিতে আলোচনার সময় পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার কথা বলেছেন বাংলাদেশের এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
খলিলুর রহমানের বরাত দিয়ে এএনআই লিখেছে, বাংলাদেশ সিএসসি উদ্যোগের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততাকে মূল্য দেয় এবং সার্বভৌমত্ব, সমতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং হস্তক্ষেপ না করার নীতির ওপর ভিত্তি করে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে চায়।
সিএসসি-এর সহযোগিতার পাঁচটি স্তম্ভ সমষ্টিগত নিরাপত্তা এবং সমগ্র অঞ্চলজুড়ে পারস্পরিক সমৃদ্ধি জোরদার করার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বাংলাদেশ সিএসসির কিছু কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে, যা সংগঠনের সনদে থাকা নীতিমালা, যথা- সার্বভৌমত্ব, সমতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং (অভ্যন্তরীণ বিষয়ে) হস্তক্ষেপ না করার ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
কনক্লেভের কাজের পাঁচটি চিহ্নিত স্তম্ভের গুরুত্ব এবং এই অঞ্চলের সব সদস্যের জন্য যৌথ নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও পারস্পরিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সিএসসি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, তা বাংলাদেশ স্বীকার করে।”
তিনি বলেন, “সম্প্রতি আমরা ভুল ও বিভ্রান্তির তথ্যের ক্রমাগত প্রবাহের মুখোমুখি হয়েছি। আমরা কেবল আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য নয়, আমাদের নিজস্ব সাইবারস্পেস, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং প্রযুক্তি সুরক্ষিত করার জন্য প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ।”
জাতীয় প্রচেষ্টা এককভাবে অপর্যাপ্ত বলে তুলে ধরে খলিলুর রহমান বলেন, সাইবার নিরাপত্তা হুমকি, ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তি মোকাবিলায় সমন্বিত আঞ্চলিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, “সাইবার নিরাপত্তা, ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপগুলো স্পষ্টভাবে প্রকাশ ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং আমি এই বিষয়ে সিএসসি-এর পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছি।”