মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ব্যাপক দুনীর্তির প্রমান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দুদকের তদন্তকারী একটি টিম হাসপাতালে অভিযান চালায়। এই সময় তদন্তকারী টিমের সদস্যরা হাসপাতালের স্টোর রুমসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
তারা দেখতে পান, রোগীদের ব্যবহৃত কম্বল নিম্নমানের এবং তাদের দেওয়া খাবারের মান ও মাছের ওজনে কম। বিভিন্ন ওয়ার্ড অপরিচ্ছন্ন। হাসপাতালের সেবার মান নিন্ম মানের। তাছাড়া, বিভিন্ন ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্রে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। কেমিক্যালের অভাবে রোগীদের জরুরী পরীক্ষা নীরিক্ষা বন্ধ। এমনকি সিটিস্ক্যান মেশিন নষ্ট বলে জানানো হয়।
অধিকাংশ ডাক্তারদের অনুপস্থিতি, এবং বদলীতে ডিপাটমেন্ট ভিত্তিক ডাক্তার শুণ্যতায় চিকিৎসা সেবা হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এই সময় তদন্ত-কারী টিম হাসপাতালের টিকেট কাউন্টার অবিন্ন্যস্ত ও কর্মচারীদের অনুপস্তিতি লক্ষ্য করেন। হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি সহকারী পরিচালক ডা. সৌমেন চৌধুরী কাছে তুলে ধরলে তিনি এর যথাযথ উত্তর দিতে ব্যর্থ হন।
তদন্ত কমিটির সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, এই হাসপাতালে কেনাকাটা নিয়ে বড় ধরনের অনিয়ম দেখা গেছে। নিম্নমানের কম্বল ২৪০০ টাকা করে ক্রয় দেখানো হয়েছে। যা বাজারে ৩০০-৫০০ টাকার বেশি না।
তাছাড়া রোগীদের খাবারের এক টুকরো মাছের ওজন থাকার কথা ২৩০ গ্রাম, সেখানে গড়ে মাত্র ১৫৫ গ্রাম আছে। যা এক ধরনের প্রতারণা বলে তিনি উল্লেখ্য করেন।