গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান এ কথা জানান। ঘটনার দিন পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও সহ-যোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওসির বিরুদ্ধে।
একই সঙ্গে এ ঘটনায় পুলিশের যথাযথ দায়িত্ব পালন না করার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে আমাকে অন্যায়ভাবে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছিল।
আপনাদের আন্দোলনের সঙ্গে আমিও আন্দোলন করেছি। এ আন্দো-লনের মাধ্যমে দেশকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন করেছি। পুলিশ কমিশনার বলেন, যারা শিক্ষার্থীদের ওপর আঘাত করেছে, তাদের প্রত্যেককে ধরে আইনের আওতায় আনা হবে।
যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্বে অবহেলা করেছেন, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমাবেশে তিনি সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে বরখাস্তের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের জানান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
তখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান।এতে আহত হন ১৫ জন। এরমধ্যে গুরুতর পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।