ব্লেড দিয়ে শ্বশুরের গোপনাঙ্গে কেটে দিয়েছে ছেলের বউ। গতকাল শনিবার রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৩নং সিংড়া ইউ-নিয়নের বিরাহীমপুর গুচ্ছ গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিম শ্বশুর পক্ষের অভিযোগ, ছেলের বউ পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ছেলের বউ ফাতেমা বেগমের (৩০) কে আটক করেছে।
ছেলের বউ ফাতেমা বেগম জানান, পনেরো বছরে আগে মনির প্রামা-ণিকের সাথে আমার বিয়ে হয় । সেই থেকে একই ইউনিয়নের বারো-পাইকার গড় এলাকায় তিন সন্তান নিয়ে স্বামীর বসতবাড়িতে আমরা বসবাস করে আসছিলাম। আমার স্বামী পেশায় একজন শ্রমিক।
জীবিকা নিবাহে জন্য সে বারোপাইকার গড় এলাকায় থাকতো। সেখানে সে প্রায় দুই-তিন লাখ টাকা ঋণ হলে বাড়ি বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করে আমরা শ্বশুরের বাড়িতে চলে আসি। আমার শ্বশুড় রান্না ঘরের এক পাশে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
এক সময় জীবিকার তাগিদে স্বামী পার্শ্ববর্তী জেলায় কাজে চলে গেলে থাকার জায়গা নিয়ে প্রায়ই শাশুড়ি ও শ্বশুরের ঝগড়া হয় এবং তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে এবং আমার অসহায়ের সুযোগ নিয়ে শ্বশুড় প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। আমি রাজি না হওয়ায় বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়।
গেল শনিবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শ্বশুর শাহজামাল আমাকে টেনে শোবার ঘরে নিয়ে যায় এবং অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করে। সে সময় আমার কাছে রাখা ব্লেড দিয়ে শ্বশুর শাহজামালের পুরুষাঙ্গ কেটে দেই।
শ্বশুর শাহ জামাল প্রামাণিক পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে জানান, ছেলের বউ পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎ-সক আহসান হাবীব বলেন, শনিবার রাত পৌনে ১০টায় আহত শাহ-জামাল প্রামাণিককে তাঁর পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছেন।
তার পুরুষাঙ্গের গোড়ার দিকের প্রায় ৪ সেন্টিমিটার অংশ কেটে গেছে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। পুরুষাঙ্গে আটটি সেলাই দেয়া হয়েছে। তিনি এখন পর্যবেক্ষণে আছেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলার বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় শাহজামাল প্রামাণিক নামের এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহত শাহজামাল প্রামাণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামীকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পর্বতীতে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।