মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ঋণের টাকা থেকে বাঁচতে অপহরণ নাটক সাজিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন এক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে টাঙ্গাইলের রাজমনি হোটেল থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। ভবিষ্যতে এমন করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ঋণের টাকা শোধ করতে না পেরে নিজেকে অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন সাটুরিয়ার শিমুলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী (৩০)। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তদন্ত কর্মকর্তা মানবেন্দ্র বালোর (ওসি তদন্ত) নেতৃত্বে একটি টিম টাঙ্গাইলের রাজমনি হোটেল থেকে তাকে আটক করে সাটুরিয়া থানায় নিয়ে যান। রাতে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিমুলিয়া গ্রামের নজর আলীর পুত্র ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী বিকেলে পাওনাদারের দেড় লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরে আর ফিরে আসেননি।এ সময় তাহার ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পায় পরিবারের লোকজন। পরদিন বিকেলে ইদ্রিস আলীকে কল করেন তার ভগ্নিপতি আমিনুর। অপরপ্রান্ত থেকে কে বা কাহারা ফোন রিসিভ করে অপহরণের কথা জানান এবং ব্যাংকের মাধ্যমে আট লাখ পঁচিশ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে আমিনুর এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা মানবেন্দ্র বালো (ওসি তদন্ত) বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর বাদীর দেওয়া তথ্যে ধারণা করি এটি অপহরণের মামলা নয়। এভাবে তদন্ত করে বিভিন্ন লোকেশনে অভিযান পরিচালনা করে অবশেষে টাঙ্গাইল শহরের রাজমনি হোটেল থেকে ইদ্রিস আলীকে উদ্ধার করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানতে পারি এলাকায় মানুষের কাছে ঋণে জর্জরিত তিনি।সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম জানান, ‘বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় ব্যবসায়ী অপহরণের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার চাপে ছিলাম। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমার কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দিয়ে ইদ্রিস আলীকে উদ্ধার করতে সমর্থ হই।
ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে এ রকম একটা ঘটনা ঘটায় সে। এটা যে অপরাধ, বুঝতে পারেনি। মানবিক দিক বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’