মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাটপনিউজ২৪.কম-এ দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। সরাসরি যোগাযোগ করুন -banglatopnews24@gmail.com. মোবাইল-০১৭৪৩৯৯৮৭৪১.

সাটুরিয়ায় “ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়’ স্থানান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম
  • আপডেটের সময়: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫
  • ১৩৩ সময় দেখুন

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ’ছনকা উচ্চ বিদ্যালয় স্থানান্তরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে। আজ রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা চত্বরে ইউএনও ও শিক্ষা অফিসের সামনে তারা এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকে- ‘চরের স্কুল চরেই থাকবে, অণ্য কোথায় মানি না, মানব না; স্কুল স্থানান্তরের ষড়যন্ত্র রুখে দাও! রুখে দাও।  বিক্ষোভকারীদের স্লোগানে উপজেলা চত্বর কম্পিত হয়ে উঠে।

উল্লেখ্য, বরাঈদ ইউনিয়নের. আশে-পাশে কোনো বিদ্যালয় না থাকায় ২০১৫ ইং সালে সর্বস্তরের জনসাধারণের সুবিধার্থে ‘ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়টি’ প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে করে ওই এলাকার হৃত-দরিদ্র শিক্ষার্থীরা লেখা-পড়া করার সুযোগ পায়। কিন্তু বরাইদ ইউনিয়নটি ধলেশ্বরী নদী বেষ্টিত ভাঙ্গন কবলিত এলাকা। প্রতি বছরই এই এলাকাটি নদী ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে।  ২০২২ ইং সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হবার পর ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় বিদ্যালয়টি অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে। বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম পার্শ্বে  উপজেলার শেষ প্রান্তে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ ব্যাপারে, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ জানান, বিদ্যালয় স্থানান্তরের বিষয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে মানিকগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা হয়। মামলার পরে থেকেই, বিদ্যালয়টি অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস খান মজলিশ মাখন মিয়ার অভিযোগ, ধলেশ্বরী পশ্চিম পার্শ্বে ঐতিহ্যবাহী ফয়জুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি পুরাতন স্কুল আছে। ঐ স্কুলটিকে ধ্বংস করার অভিপ্রায়ে একটি মহল নতুন করে ছনকা বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের পাঁয়তারা করছে। তাছাড়া নদীর পূর্ব পাড়ের ১০/১১ টি গ্রামের (চরের) বাসিন্দাদের ছেলে মেয়েদের লেখা-পড়ায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আসাউদ জামান জানান, কয়েক বছর আগে বিদ্যালয়ের পক্ষে, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতির শঙ্কা নিয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়। ওই সময় বিভিন্ন ইনভেষ্টিগেশন টিম এই শঙ্কার সত্যতা পান। এর পরেই বিদ্যালয়টি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য মন্ত্রণালয় ও ডিজি অফিস থেকে চিঠি আসে।

তবে, সম্প্রতি জানা গেছে, ছনকা গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ চাইছে, বিদ্যালয়টি বর্তমানস্থানে থাকুক। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর...
© All rights reserved © ২০২৫ বাংলা টপ নিউজ ২৪
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD