মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া বাজারে ছাগলের হাটের হাসিল আদায়কে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সমিতি ও ধামরাই উপজেলার ছাগলের হাটের ইজারাদারদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। এক পর্যায়ে দখল এবং হাটের স্থান পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে। এতে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতা চরম বিপাকে ও অনিশ্চয়তায় পড়ে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল থেকে সাটুরিয়া মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে ছাগলের হাট শুরু হলে পার্শ্ববর্তী ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের ছাগলের হাটের ইজারাদার রাজা ও সাজুর লোকজন মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের হাটে এসে হাসিল তুলতে বাধা দেন।পরবর্তীতে ধামরাইয়ের নতুন বসানো সাটুরিয়া সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গায় ছাগলের হাটে ছাগল বিক্রেতাদের যেতে বাধ্য করে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। সীমান্তবর্তী হওয়ায় নতুন বসানো হাটের স্থানটি ধামরাইয়ে হলেও সাটুরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গা। বিধি মোতাবেক সরকারি স্কুলের জায়গায় হাট বাজার বসতে পারে না।
এদিন সকাল ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইকবাল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহম্মেদ, সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ইজারাদারদের ডেকে কথা বলে নতুন হাটটিকে সরানোর জন্য নির্দেশ দেন। হাট লাগানোর নিয়ম নীতির কথা বলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে যথাস্থানে হাট লাগাতে বলেন।
সাটুরিয়া সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ধামরাই ইজারাদার এক প্রকার জোর করে স্কুলের জায়গায় নতুন হাট বসিয়েছে। আমি নিষেধ করার পরও তারা হাটের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্কুলের সভাপতি ইউএনও মহোদয় কে বিষয়টি অবহিত করেছি।’
ইউএনও ইকবাল হোসেন বলেন, ‘স্কুলের সভাপতি হিসেবে স্কুলের ভাল মন্দ দেখার দায়িত্ব আমার। অবস্থানগত জায়গা ধামরাই উপজেলার হলেও স্কুলটি সাটুরিয়া। স্কুলের জায়গায় হাট বসতে পারে না।
জোরপুর্বক এখানে হাট বসানো অন্যায় হয়েছে। আমি তাৎক্ষণিক এটা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছি। আর ইজারাদারকে বলেছি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে হাট লাগানোর ব্যবস্থা করুন। মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে বসানো হাটটিও যথাযথ নিয়ম মেনে বসানো হয়নি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।