মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ইউনিয়নে সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারির অতর্কিত হামলা দু’জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩/০৫/২০২৫ রাত ৮.০০ ঘটিকায় অত্র ইউনিয়নের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী শিবলু ও বাবুল হোসেন ইউনিয়ন শ্রমিক দলের কমিটি গঠণ করাকে কেন্দ্র করে গোলযোগের নিমিত্তে দলবল নিয়ে তিল্লী সিএনজি স্টেশনে আসে এবং সিএনজির যাত্রীর সঙ্গে কথা কথারত অবস্থায় সিএনজির ড্রাইভার আঃ মালেক উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এই সময়, শ্রমিক দল তিল্লী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক পলাশ রাজবংশী এগিয়ে আসলে শিবলু ও তার দলবল চাপাতি দিয়ে পলাশের উপরও হামলা চালায়। চাপাতির আঘাতে পলাশের রক্তাক্ত হলে সে জীবন বাঁচানোর তাগিদে চিৎকার-চেচাঁমেচি করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এই সময় স্থানীয় জনতা, আহত পলাশ ও মালেককে রক্তাক্ত অবস্থা উদ্ধার করে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত পলাশ অভিযোগ, হামলাকারীরা তার পকেটে থাকা মোবাইল ফোন এবং ৮৫০০০/- পঁচাশি হাজার টাকা ও এক ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন নিয়ে পালিয়ে গেছে।
তার অভিযোগ -হামলাকারী হলো বাবুল, শিবলু পিতা – আঃ লতিফ, বিকাশ পিতা -সদেপ, চন্দন রায় পিতা- রঞ্জিত রায, সোহেল মোল্লা পিতা- হালিম মোল্লা, রাকিব পিতা- আঃ কাশেম। চন্দন ও রাকিব ছিলো আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ।
এ বিষয় সাটুরিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, যেসব চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক বিক্রেতা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পায়তারা করছে তাদের কঠোর হাতে দমনকরা হবে।
সাটুরিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বলেন, আমরা দলের নির্দেশনা ও নীতি-আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দলের ভাবমূর্তি নষ্টকারী যেই হোক না কেন তাদেরকে আমরা দলে স্থান দিবো না।
সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিনুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তকারীদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।