ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ সামরিক হামলা চালানো হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তেহরানের একজন শীর্ষ নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
তার মতে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই হামলা হতে পারে। রোববার (২৯ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনুষদের প্রধান ড. ইব্রাহিম মোত্তাকি এ আশঙ্কার কথা জানান।
তিনি বলেন, “বর্তমান যুদ্ধবিরতি ইসরায়েল ও আমেরিকার সংঘবদ্ধ হওয়ার একটি সাময়িক প্রস্তুতিমূলক সময় মাত্র। তারা এই সময়টিকে সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠনের জন্য ব্যবহার করছে এবং শিগগিরই ধ্বংসাত্মক হামলা শুরু করবে।
”ড. মোত্তাকি জানান, যুদ্ধবিরতি ইরানি কর্তৃপক্ষের জন্য সতর্কতা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, কেননা এ যুদ্ধে পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ইরানি শীর্ষ নেতাদের টার্গেট করা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে—যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েল আগামী সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ইরানের ওপর আবারও আকস্মিক ও উচ্চমাত্রার হামলা চালাতে পারে। এই যুদ্ধবিরতি আমেরিকা ও ইসরায়েলের জন্য শ্বাস নেওয়ার সুযোগ মাত্র।
১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর গত ২৪ জুন ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। তবে দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিরতি যেনো এক ধরনের ‘স্ট্র্যাটেজিক পজ’—যেখানে দুই পক্ষই যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গত সপ্তাহে ইরানের ফরদো ও নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন ও ইসরায়েলি বোমা হামলা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই হামলার ফলেই নতুন করে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞদের এই সতর্কতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে আবারও উচ্চমাত্রার সামরিক সংঘর্ষের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করা হচ্ছে এবং রাজধানী তেহরানের পশ্চিমাঞ্চল এসলামশাহরে সম্প্রতি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।