মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আরিফুল ইসলাম (২০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ৯ সদস্যের একটি টিমকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে আটক আসামিসহ অভিযানে অংশ নেওয়া সদস্যের উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের তারাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালায় জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এ সময় এসআই রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল ৩৫ পিস ইয়াবাসহ আরিফুলকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
পরে আরিফুলের দেওয়া তথ্যে একই গ্রামের আরো দুই বাসিন্দা বাদশা মিয়ার ছেলে মজিদ (৩৫) ও মৃত আওলাদ হোসেনের ছেলে জুলহাস (৩৩)-এর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ডিএনসি টিম। তবে তাদের বাড়িতে কোনো মাদক না পেয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, অভিযানে অংশ নেওয়া সদস্যরা ভুয়া ডিবি পুলিশ। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে স্থানীয় জনতা।
তারা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ব্যবহৃত গাড়ি আটকে দেয় এবং আসামি আরিফুলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।আরিফুলের শ্বশুর মেহেদী হাসান উপস্থিত জনতাকে জানায়, তার মেয়ের জামাইয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। এছাড়া মজিদ, জুলহাসসহ আরো অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছে। এই বক্তব্য জনতার ক্ষোভ আরো বাড়িয়ে তোলে।
একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এসআই রফিকুল ইসলাম, আতাউর রহমান সজীব, এএসআই কিংকর কুমার রায়, নজরুল ইসলাম, মাহবুবা রহমান, সিপাহী জীবন হোসেন, জুয়েল রানা, আলমগীর কবির ও শাহীন খানকে ঘেরাও করে রাখে। তাদের মধ্যে জীবন হোসেনসহ কয়েকজনের ওপর শারীরিক হামলারও অভিযোগ রয়েছে।
খবর পেয়ে সাড়ে ১০টার দিকে সাটুরিয়া থানা পুলিশের একটি দল ওসি শাহিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় এবং অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকা কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। অথচ আজ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে বাঁচাতে এলাকাবাসীর এই ধরনের আচরণ খুবই দুঃখজনক।