ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, একসময় ভূমি অফিস মানেই ছিল দুর্ভোগ, হয়রানি ও জটিল প্রক্রিয়া। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সরকার ভূমিসেবা ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। আজ ভূমিসেবা সত্যিকার অর্থে নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সেমিনার কক্ষে ‘মানোন্নীত অটোমেডেট ভূমিসেবা সম্পর্কে রাজশাহী বিভাগের চারটি জেলার (বগুড়া, নওগাঁ, চাপাইনবয়াবগঞ্জ ও রাজশাহী ) কর্মকর্তা-কর্মচারী গণের’ ‘’ট্রেনিং অফ ট্রেইনার্স (টিওটি)’’প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, জনমনে ভূমি অফিস ও এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক কথা হয়। আমরা চাই ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে তা দূর করতে হবে।
তথ্যপ্রযুক্তির যুগ প্রযুক্তির উন্নয়ন আজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। ভূমি প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনাও এর ব্যতিক্রম নয়। একসময় ভূমিসেবা বলতে বুঝানো হতো দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কাগজপত্র যাচাই, দালালের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করা এবং সাধারণ নাগরিকের জন্য দুরূহ প্রক্রিয়া।
কালের বির্বতনে ভূমিসেবা এখন ডিজিটাইজড হয়ে গেছে, জনগণের ভোগান্তি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে ।
সিনিয়র সচিব আরও বলেন, মানোন্নীত অটোমেটেড ভূমিসেবা শুধু প্রযুক্তিগত স্বয়ংক্রিয়তা নয়, বরং সেবার গুণগত মানের উন্নয়নও। এখন কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেবা প্রদানে সময় কমেছে এবং দুর্নীতির সুযোগ অনেক কমে এসেছে।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যথাযথভাবে মনোযোগ সহকারে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আপনাদেরই আবার মাঠ পর্যায়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সময়ের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের আপগ্রেড করতে হয়, ডিজিটাল যুগে নিজে আপগ্রেড না করতে পারলে পিছিয়ে থাকতে হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন মো. পারভেজ হাসান, প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব), ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প,ভূমিমন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী।