মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ৯ বছর বয়সী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা গত ৭ নভেম্বর শিবালয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবালয়ের কোলা ইউনিয়নের নয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী রত্না ২৯ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যায়। অভিযোগ অনুযায়ী, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল থেকে বের হওয়ার সময় অভিযুক্ত পরোদাস ওরফে পরিমল দর্জি (৬০) শিশুটিকে ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে নয়াবাড়ী বাজারে নিজের টেইলার্সের দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়া, বুকে কামড় দেওয়া এবং গালে চুমু দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
শিশুটি বিষয়টি বাড়ি ফিরে তার মা ফুলজান বেগমকে জানালে, তিনি তা বিদ্যালয় ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন। স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করার আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর হয়নি।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আক্কাছ আলী থানায় অভিযোগ করতে গেলে অভিযুক্ত পরিমলের সহযোগী আব্দুল মালেক (৪৫), শওকত আলী (৩৫) ও আব্দুল মান্নান (৫০) তাকে নয়াবাড়ী বাজারে ডেকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। পরে ৫ নভেম্বর সকালে শওকতের জুতার দোকানে পুনরায় ডেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক স্ট্যম্পে সই করানো হয়।
আক্কাছ আলী জানান, “আমার মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের সহযোগীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমি চারজনসহ আরও অজ্ঞাত ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার মেয়ের সুষ্ঠ বিচার চাই।”
ভুক্তভোগীর মা ফুলজান বেগম বলেন, “আমার মেয়েটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। আমাদের পরিবারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার সুযোগে পরিমল দর্জি আমার মেয়েকে টাকার লোভ দেখিয়ে নির্যাতন করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার চাই।” অভিযুক্ত পরিমল দর্জির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমানউল্লাহ বলেন, এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়ায় যৌন পীড়নের মামলা নেয়া হয়েছে। দ্রুত আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।