বর্তমান শিক্ষার প্রাপ্তি রাজনৈতিক কারণে অনেকাংশেই ভূ-লন্ঠিত। যার ফলে জীবন আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে সীমাহীন সংর্কীনতায়। ক্রমে ক্রমেই চিন্তা-চেতনার জাগরণ জাতি-গোষ্ঠি কিম্বা ব্যক্তিক চাওয়া-পাওয়াতেই সীমাবদ্ধ হয়ে গড়েছে। যা সমাজ-ও জাতির জন্য মোটেও মঙ্গল জনক নয়।
তথাকথিত শিক্ষার “ফসীল” ‘নৈতিক ধাপকে পিছনে ফেলে অর্থনৈতিক পরিসীমায় ব্যাপিত’ হতে চলেছে। আর এই অসার উন্নতিতে ‘রাজনীতি’ আগুনে ‘ঘি’ ঢালা সমবেত কাজ করে যাচ্ছে। যা পুরোপুরিই রাজনীতির সংজ্ঞা বিরোধী-এক অবিনব-অযৌক্তিক ফরমালীন মিশ্রন উন্নয়ন-তত্ত্ব কথা।
পৃথীবির সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির দ্বারা মানব কল্যাণ কামনা। রাজনীতির মূল লক্ষ্যও মানব কল্যাণ- যা নিজেকে পরিশোদ্ধ নবায়নের দ্বারা, অপরের কল্যাণে বাস্তবায়ন করতে হয়। যুগ-যুগের গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ কেবল শিক্ষার দ্বারা নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে পারে। আর অভিজ্ঞতা কেবল সহচর মাত্র।
কালি আর কলম দ্বারা শিক্ষাকে উপলধ্বি সম্ভব কিন্তু ধারন করার কাজ ব্যক্তির নিজের। পুস্তক ও কলম ছাড়া বিদ্যা যেমন দৈবচয়ন, তেমনী নিজের তনুয় অ-ধারনকৃত বিদ্যা কাচেঁ বোতলের ভিতরের মধূ চাটার সমতুল্য।
বর্তমান ব্যাণিজিক ভিত্তিক শিক্ষায় অর্থ উর্পাজনে শরীর ভাল রাখা গেলেও চিন্তার বাস্তব বিকাশ ও মনো-তৃপ্তি প্রশ্নবোধক ? সর্বপোরি অশুদ্ধ রাজনীতির কালো থাবা শরীর ভাল রাখার মন্ত্রকে আরও উস্কে দিচ্ছে, যার ফলাফল ভয়াবহ। যদি বলেন, যুগ-পরিক্রমাই এর সমাধান’ তবে নিশ্চিত মনে করবেন মানব সভ্যতার প্রলয় সন্নিকটে।
একথা সত্য যে, কোন প্রাপ্তিই ছোট নয়। আবার বলা যায় অশুদ্ধ প্রাপ্তি; প্রাপ্তি নয়। বিশুদ্ধ প্রাপ্তির বাস্তব ও সঠিক প্রয়োগ সত্য স্বনির্ভর। আজ বাংলাদেশসহ উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রই নিরঙ্কুশ প্রাপ্তি- অর্থনৈতিক অপ-প্রয়োগে নিজ বা জাতির অসত্য উন্নতিতে ব্যবহার করছে। যা অধিকাংশই মানব কল্যাণের পরিপন্থী, ও প্রকৃতি ধব্বংশের মূল কারণ।
যার ফলে আজ সমগ্র বিশ্বব্যাপি জাতিতে জাতিতে রেষারেষি সৃষ্টি হচ্ছে। এই রেষারেষির বাস্তব ফল চুরি-রাহজনী, খুন-খারাপী হিংসা-মারামারি । এই জন্য পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে ‘আমি নিশ্চয় কিছু লোককে অনুগ্রহ করেছি সত্য ও ন্যায়ের পথে, তাদের পথ অনুস্বরণ কর। তাদের নহে, যারা পথভ্রষ্ট ও ভন্ড।
আজ শিক্ষা প্রয়োগ, ভ্রান্ত ব্যাখ্যা ও ছলনায় স্বয়ং ভগবানও অস্থির হয়ে উঠেছে। ফলে ছলনায়- সত্যও প্রকৃতি বিষয় গুলোতে সৃষ্টি হয়েছে গোল-যোগ ও বি-ভ্রান্তি।
শিক্ষা, রাজনীতি, প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন অপ-প্রয়োগ ও অসাধুতায় অর্থ-নৈতিক সুবিধা অর্জনে- শরীর ভাল রাখার কৌশলে পরিনত হচ্ছে। অথচ শরীর নশ্বর। শিক্ষা ও রাজনীতি, মানব কল্যাণ সর্বদাই অভিনশ্বর। তাই রাজনীতির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে – politic is the public service for all kinds of national Interest -। মূলকথা শিক্ষার দ্বারা অর্জিত আত্ম-আধ্যাত্ব-জ্ঞানই রাজনীতিকের প্রধান সম্বল। যা মানব কল্যাণের অভিব্যক্তি।