বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাটপনিউজ২৪.কম-এ দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। সরাসরি যোগাযোগ করুন -banglatopnews24@gmail.com. মোবাইল-০১৭৪৩৯৯৮৭৪১.

জুলাই সনদ ও সংস্কার সুপারিশ চূড়ান্ত পর্যায়ে, চলছে দর কষাকষি

Reporter Name
  • আপডেটের সময়: শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫
  • ১১২ সময় দেখুন

গণঅভ্যুত্থানের জুলাই সনদ ও রাজনৈতিক সংস্কারের সুপারিশমালা চূড়ান্ত করছে জাতীয় ঐক্যমতো কমিশন। দফায় দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে কাছাকাছি সমঝোতায় পৌঁছেছে কমিশন সূত্র জানিয়েছে।

জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই ঘোষিত হচ্ছে জুলাই সনদ। সংস্কারে শেষ মুহূর্তে সব দলের ঐক্যমতে পৌঁছাতে উভয়পক্ষে বড় বড় ছাড় নিয়ে দর কষাকষি চলছে।

জাতীয় ঐক্যমতো কমিশন সূত্র জানায় আগামী ১৫ জুলাই কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। এরই মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করে জুলাই সনদ ও রাজনৈতিক মৌলিক কাঠামো চূড়ান্ত করেছে।

আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়াও কমিশনের বিশেষ সহকারি ব্যক্তিগতভাবে রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীদের সাথে আলোচনা করে কাছাকাছি নিয়ে এসেছেন। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের সর্বসম্মতির মৌলিক কাঠামো ঠিক করার কাজ।

৷৷ বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের প্রশ্নে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। দলটি আগের অবস্থান থেকে সরে আসা বা অবস্থানের এই পরিবর্তনের কথা বলেছে শর্তসাপেক্ষে। এক ব্যক্তি দুই মেয়াদ বা দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারবেন না, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাব মেনে নেবে বিএনপি।

তবে দলটির শর্ত হচ্ছে, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব বাদ দিতে হবে; এ ধরনের কোনো বিধান সংবিধানে যুক্ত করা যাবে না। জাতীয় ঐক্যবোধ কমিশনার এই প্রস্তাবনা থেকে ইতিমধ্যে সরে এসেছে।

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের প্রস্তাব থেকে সরে এসে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতেও রাজি নয় বিএনপি এবং এর মিত্র কয়েকটি দল।

সাংবিধানিক পদে নিয়োগের কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থানের পেছনে বিএনপি নেতাদের যুক্তি, এতে প্রধানমন্ত্রীর হাত বেঁধে দেওয়া হবে; দুর্বল করা হবে নির্বাহী বিভাগকে। বিএনপির পাল্টা অবস্থানে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের দল এনসিপিসহ ইসলামপন্থি বিভিন্ন দল।

তারা বলছে, প্রধানমন্ত্রীর হাতে যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত না হয়, সেজন্য এ ধরনের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এছাড়া সংবিধানের মূলনীতির প্রশ্নেও দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সর্বশষে বৈঠকে।

মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে ওই বৈঠকে ব্যাপক বিতর্কের পর ব্যক্তিগত ঐ পক্ষে কাছাকাছি পর্যায়ে ঐক্য পৌঁছেছে। এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ বা দশ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, এরপর ওই ব্যক্তি আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপি ছোট কয়েকটি দল ছাড়া অন্যদের পক্ষে পায়নি।

জামায়াত, এনসিপিসহ ডান ও বাম-সব ঘরানার দল, এমনকি বিএনপির মিত্রদের মধ্যেও কোনো কোনো দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দশ বছরের বেশি না হওয়ার প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

এই দলগুলোও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুরে সুর মিলিয়ে যুক্তি তুলে ধরছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তি কয় মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন, এটা সুনিদিষ্ট না থাকায় কতৃত্ববাদী, একনায়ক বা স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ রয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনের উদাহরণকে তুলে ধরা হচ্ছে।

বিভিন্ন দলের এমন অবস্থান এবং পরিস্থিতি বিএনপির ওপর প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের প্রশ্নে এক ধরনের চাপ তৈরি করেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন।

আইন বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন, সংসদীয় পদ্ধতিতে এক ব্যক্তির সরকার প্রধানের পদে থাকার মেয়াদকাল সুনির্দিষ্ট করা হলে তা জটিলতার তৈরি করতে পারে।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে যে সব দেশে, এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বেশির ভাগ দেশেই প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ মেয়াদকাল নির্দিষ্ট করা নেই।

তিনি মনে করেন, রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থায় এক ব্যক্তি টানা দুই মেয়াদের বেশি ওই পদে থাকতে পারবেন না, এই ব্যবস্থা বা বিধান যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে আছে। কারণ রাষ্ট্রপতি শাসন অনেকটা ব্যক্তিকেন্দ্রিক।

বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, বিধান করে ক্ষমতার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হলেও অনেক সময় তা কাগজে-কলমে থেকে যায়।

বিশ্লেষকদের বক্তব্য হচ্ছে, কোনো বিধান চাপিয়ে দিলেই কর্তৃত্ববাদী বা স্বৈরশাসন ঠেকানো সম্ভব নাও হতে পারে। সেজন্য বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নিয়ে যে প্রস্তাব এসেছে, তাতে সব দলের স্বতস্ফূর্ত সমর্থন ছাড়া এর উদ্দেশ্য সফল করা কঠিন হতে পারে।

বিএনপির নেতারা মনে করেন, সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের জন্য যখন কোনো কাউন্সিল বা কমিটি গঠন করে তা সংবিধানে যুক্ত করা হবে, তখন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের বৈঠকে এর বিরোধিতা করে যুক্তি দিতে গিয়ে বিএনপি নেতারা এ-ও বলেন, এ ধরনের বিধান করা হলে প্রধানমন্ত্রীর হাত বেঁধে দেওয়া হবে।

দলটি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে বলা যায়। তারা বিষয়টাকে প্রধান-মন্ত্রীর মেয়াদের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে এনেছে। দলটি বলেছে, সাংবিধানিক কাউন্সিল বা কোনো কমিটি গঠনের প্রস্তাব বাদ দেওয়া না হলে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সম্পর্কিত প্রস্তাবে সমর্থন দেবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বিএনপির অবস্থানকে ব্যাখ্যা করছেন ভিন্নভাবে। তারা বলছেন, নির্বাচন হলে যেহেতু বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, সে কারণে দলটি এখন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভাগ বসাতে দিতে রাজি নয়। সে জন্যই বিএনপি সাংবধিানিক পদে নিয়োগে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ তৈরির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক পদগুলোয় নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি বা আইনি ব্যবস্থা আছে। সে সব আইনে সংস্কার করা হলে তাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের বিষয়টি তারা মেনে নেবেন না। এটি করা হলে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা কমবে এবং গণতন্ত্র দুর্বল হবে বলেও উল্লখে করেন বিএনপি নেতা মি. আহমদ।

বিএনপির এই অবস্থানেরও পাল্টা অবস্থানে রয়েছে জামায়াত, এনসিপি সহ বিভিন্ন দল। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশিরভাগ দল সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়েছে। বিষয়টাতে তারা আরও আলোচনা করবেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এনসিসির প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে। এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি থাকার যে প্রস্তাব করা হয়েছিল, নতুন প্রস্তাবিত সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটিতে তাঁরা থাকবেন না।

এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের স্পিকার । কমিটি শুধু সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিন বাহিনীর প্রধানের নিয়োগ এই কমিটির অন্তর্ভুক্ত হবে না।

এই কমিটি হবে সাত সদস্যবিশিষ্ট, যেখানে সভাপতি থাকবেন নিম্ন-কক্ষের স্পিকার। এছাড়া কমিটিতে থাকবেন—প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার (নিম্নকক্ষ), স্পিকার (উচ্চকক্ষ), বিরোধীদলীয় নেতা, প্রধান বিরোধী দল ছাড়া অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি (আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন), প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।

অন্যদিকে, আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে চারটি। সেগুলো হলো–– সুপ্রিমকোর্ট, নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও মহা হিসাব-নিরীক্ষকের কার্যালয়। এর বাইরে সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের বিষয়কেও প্রস্তাবিত কমিটির আওতায় আনার কথা বলা হচ্ছে।

সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বলতে বোঝায়, যে সব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনার জন্য আলাদা আইন আছে বা যে সব প্রতিষ্ঠান স্বতন্ত্র আইন দ্বারা চলে। যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন, টেলিফোন রেগুলেটরি সংস্থা- এমন আইনভিত্তিক দুশোর বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

আইনজীবী শাহদীন মালিক মনে করেন, এ সব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ করা হলে নির্বাহী বিভাগে ক্ষমতা খর্ব হবে। তবে ঐকমত্য কমিশনের এসব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি দল যেহেতু বিরোধিতা করছে, ফলে এটি বাস্তবায়ন করা কঠিন।

জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামী দলগুলো ধর্মীয় বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব এনেছে সংবিধানের মূলনীতিতে যুক্ত করার জন্য। মূলনীতি পরিবর্তন করা না করার প্রশ্ন দলগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, তার সঙ্গে তিনটি বিষয় যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ঐকমত্য কমিশন।

তাদের সেই প্রস্তাব তিনটি হচ্ছে, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও পক্ষপাত হীনতা। তবে বিএনপির সঙ্গে সিপিবি,বাসদসহ বামপন্থি দলগুলোর বিরোধ সংবিধানের পঞ্চম ও পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মূলনীতিতে সংশোধনী আনা হয়েছিল।

সেই সংশোধনী অনুযায়ী সংবিধানের মূলনীতি ছিল, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদ, এবং সমাজতন্ত্র অর্থাৎ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র। বিএনপি পঞ্চম সংশোধনীর ওই মূলনীতিতে ফিরে যেতে চায়।

অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সেই ৭২ এর সংবিধানের মূলনীতি ফিরিয়ে আনা হয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শাসনের সময়ে। আর এ সংশোধনী অনুযায়ী, সংবিধানের মূলনীতি হচ্ছে, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এই চার মূলনীতি এখন বহাল আছে।

সিপিবিসহ বামপন্থি দলগুলো পঞ্চদশ সংশাধনীর মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা ৭২ এর সংবিধানের মূলনীতি বহাল রাখার পক্ষে। তাদের সঙ্গে বিএনপির তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে।

কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ৭২ এর সংবিধানের মূলনীতি কোনো দলের নয়, সেটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর ভিত্তি করে। সে জন্য তারা তা বহাল রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। শেষপর্যন্ত ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।

ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দলগুলো যার যার আদর্শিক অবস্থান থেকে সংবিধানের মূলনীতিতে পরিবর্তন আনতে চাইছে, ফলে বিষয়টাতে শেষপর্যন্ত ঐকমত্য হবে কি না-এ নিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে।

আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের আন্দোলন বা গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে জুলাই মাসেই সংস্কার প্রশ্নে সনদ ঘোষণা করার কথা রয়েছে। সে জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ রয়েছে ১৫ই জুলাই পর্যন্ত। এই সময় আরও বাড়তে পারে।

যদিও কমিশন ১০ই জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার চেষ্টার কথা বলছে। সেজন্য তাদের হাতে সময় বেশি নেই। কিন্তু সংবিধানের স্পর্শকাতর ও মৌলিক বিষয়ে এখনো দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। এসব বিষয়ে ঐকমত্য বেশ কঠিন বলে রাজনীতিকসহ সংশ্লিষ্টরাই বলছেন।

কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংস্কারের যে সব প্রস্তাবে ঐকমত্য হবে, সেগুলো দিয়েই জুলাই সনদ তৈরি করা হবে।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর...
© All rights reserved © ২০২৫ বাংলা টপ নিউজ ২৪
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD

Warning: PHP Startup: Unable to load dynamic library 'mysqli.so' (tried: /opt/alt/php82/usr/lib64/php/modules/mysqli.so (/opt/alt/php82/usr/lib64/php/modules/mysqli.so: undefined symbol: mysqlnd_global_stats), /opt/alt/php82/usr/lib64/php/modules/mysqli.so.so (/opt/alt/php82/usr/lib64/php/modules/mysqli.so.so: cannot open shared object file: No such file or directory)) in Unknown on line 0