বছর খানিক ধরেই ডাক্তার না থাকার অভিযোগ উঠেছে দিঘলীয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির বিরুদ্ধে (পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত) এলাকাবাসি মতে, দীর্ঘ দিন ধরেই হাসপাতালটিতে ডাক্তার আসে না। এই নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যর্থা নাই। তারা আক্ষেপ করে বলেন, আমরা জরুরী প্রয়োজনে এই হাসপাতালে সেবা নিয়ে থাকি, তাও এখন বন্ধ রয়েছে। ডাক্তার বিহীন হাসপাতাল আমাদের প্রয়োজন কি? এই হাসপাতাল আমরা চাই না। এটি অনতিবিলম্বে বন্ধ করে দেয়া হোক।
জানাগেছে, অত্র ইউনিয়নের একমাত্র সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এটি। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ৪ জনের জনবল থাকার কথা থাকলে ও একমাত্র একজন আয়াই অফিস করেন। তবে তিনিও নিয়মিত না। ফলে দুর-দূরান্ত হতে আগত রোগিরা প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এতে করে বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য সেবার মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
এই ব্যপারে অত্র এলাকার বাসিন্দা জনাব নজরুল ইসলাম (জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য) জানান, আমার বাড়ীর পাশবর্তী এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি প্রায়ই তালাবদ্ধ থাকে। মাঝে মধ্যে একজন আয়া আসলেও ডাক্তার না থাকার অযুহাত দেখিয়ে দুপুর ১২টার মধ্যে হাসপাতালে তালা মেরে চলে যান। ফলে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নিয়ে জনমনে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। স্বৈর-শাসনের আবসানের পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় এলাকাবাসী সত্যিই মর্মাহত। তারা অতি দ্রুত এর প্রতিকার চায়।
হাসপাতাল বন্ধথাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে, সাটুরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএফপিও) জনাবা রোহানা আক্তার জানান, এখানে একজন ডাক্তার অতিব প্রয়োজন। আমি বার বার এই ব্যাপারে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছি। গত ১৩ই জানুয়ারী উপজেলা মিটিংয়েও আমি এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলাম। জনবল সংকটের কারণে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। তবে আশা করি, অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
স্বৈর-শাসন বিদায়ের রেশ কাটতে না কাটতেই অত্র ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সেবা দানের এমন অক্ষমতা নিয়ে- জনমনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাই এ ব্যাপারে অতি দ্রুত প্রয়োজীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এখন এলাকাবাসীর সময়ের দাবি।